রাশিয়া থেকে চুরি করা শস্য আমদানির অভিযোগে বাংলাদেশের কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার সতর্কবার্তা দিল ইউক্রেন!

ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া থেকে চুরি করা শস্য আমদানি করছে বাংলাদেশের এক কোম্পানি। এ কারণে কোম্পানিটিকে নিষেধাজ্ঞার সতর্কবার্তা দিয়েছে কিয়েভ।

জুন 30, 2025 - 13:31
 0  16
রাশিয়া থেকে চুরি করা শস্য আমদানির অভিযোগে বাংলাদেশের কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার সতর্কবার্তা দিল ইউক্রেন!
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকালে দখলকৃত এলাকা থেকে সংগৃহীত শস্য নিয়ে জাহাজ

রাশিয়া ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দখল করেছে এবং সেসব এলাকা থেকে সংগৃহীত শস্য বাংলাদেশ আমদানি করছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া তাদের কাছ থেকে চুরি করা শস্য রপ্তানি করছে। এ কারণে ইউক্রেন সরকার বাংলাদেশের কিছু কোম্পানি এবং সরকারি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে অনুরোধ জানাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ এ তথ্য জানিয়েছে, সূত্রের বরাত দিয়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চল থেকে রপ্তানিকারকরা নিয়মিতভাবে তাদের নিজস্ব শস্যের সঙ্গে দখলকৃত ইউক্রেনীয় এলাকা থেকে সংগৃহীত শস্য মিশিয়ে থাকে। ইউক্রেন এই ধরনের শস্যকে চুরি করা বলে অভিহিত করে এবং বিদেশি ক্রেতাদের এমন পণ্য কেনা থেকে বিরত রাখতে নিয়মিতভাবে চাপ সৃষ্টি করে। আগে সিরিয়ার সাবেক সরকার এসব শস্যের বড় ক্রেতা ছিল। তবে বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর অন্যান্য দেশও এ ধরনের শস্য কিনছে। ইউক্রেনীয় কূটনীতিকদের সূত্রে জানা গেছে, এ ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের দিল্লিস্থ দূতাবাস থেকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বেশ কয়েকটি চিঠি তাদের হাতে এসেছে। চিঠিগুলোতে বলা হয়েছে, ককভাজ বন্দর থেকে প্রায় দেড় লাখ টন চুরি করা শস্য বৈধ রাশিয়ান শস্যের সঙ্গে মিশিয়ে বাংলাদেশের বন্দরে পাঠানো হয়েছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের পক্ষে আলাদা করে শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্দর পোলিশচুক রয়টার্সকে জানান, এখনো পর্যন্ত ঢাকা কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো চিঠির জবাব দেয়নি, এমনকি নিষেধাজ্ঞার হুমকি এবং সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর নির্দিষ্ট তালিকা দেওয়ার পরও নয়। বর্তমানে এসব জাহাজের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র মূলত তেলবাহী ট্যাঙ্কারের ওপরই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে, কারণ এসবের মাধ্যমেই রাশিয়া সর্বাধিক অর্থ আয় করে। এদিকে ইউক্রেন ইতোমধ্যেই দুটি জাহাজ আটক করেছে, যেগুলো দখলকৃত এলাকা থেকে চুরি করা শস্য পরিবহন করছিল। এর মধ্যে একটি জাহাজ নিলামে তোলার পরিকল্পনাও করছে ইউক্রেন সরকার। অনুবাদ: গুঞ্জন

আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

লাইক লাইক 1
অপছন্দ অপছন্দ 0
ভালোবাসা ভালোবাসা 0
মজার মজার 0
রাগান্বিত রাগান্বিত 0
দুঃখিত দুঃখিত 0
ওয়াও ওয়াও 0